বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩২ অপরাহ্ন
গলাচিপা প্রতিনিধি॥ পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের ছৈলাবুনিয়া গ্রামে ২০১৭ সালের ২ আগস্ট ট্রিপল মার্ডারের (স্বামী, স্ত্রী ও পালিত কন্যা) সাথে জড়িত শহিদুল ইসলাম নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তি খুন হওয়া ব্যক্তি দেলোয়ার মোল্লার ভাতিজা।
সোমবার সকালে পটুয়াখালী পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. মইনুল হাসান জানান, উল্লেখিত তারিখে বীভৎস্য অবস্থায় দেলোয়ার মোল্লা (৬৫), স্ত্রী পারভীন বেগম (৫০) এবং পালিত মেয়ে কাজলী আক্তার (১৫) কে বসতঘরে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই ইদ্রিস মোল্লা বাদী হয়ে ওই বছর ৩ আগস্ট অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে গলাচিপা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। একই ঘটনায় দেলোয়ার মোল্লার বোন পিয়ারা বেগম বাদী হয়ে এক সপ্তাহ পর ২২ জনের নাম উল্লেখ করে গলাচিপা আদালতে একই ঘটনায় আরেকটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালত দুটি মামলা সংযুক্ত করে পুলিশকে তদন্তের নির্দেশনা দেন।
কিন্তু পুলিশ কোনো কিনারা খুঁজে পাচ্ছিল না। তবে দীর্ঘদিন পর পুলিশ খুন হওয়া দেলোয়ারের মেয়ে কাজলী আক্তারের মোবাইলের সন্ধান পায়। এরপর পুলিশ ওই মোবাইলের সূত্র ধরে দেলোয়ারের ভাইয়ের ছেলে শহীদুল ইসলামকে গলাচিপা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে সাভার থেকে ১০ অক্টোবর সন্ধ্যায় একটি ভাড়া বাসা থেকে আটক করে। শহিদুল তার নাম পরিবর্তন করে জাহাঙ্গীর নামে ওই বাসায় সপরিবারে বসবাস করত।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শহিদুল হত্যার সাথে জড়িত থাকার বিষয় স্বীকার করেছে।
Leave a Reply